শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৫

সিক্ত হলাম মায়ের ভালোবাসায় !

ক'দিন আগেই গিয়েছিলাম মায়ের কাছে ৷
দীর্ঘ এক মাস পরে দেখা এবং কথা হলো ৷
বাড়ীতে গিয়েই আমার নজরে পড়লো
সাঁজানো-গোছানো সুন্দর পরিবেশ এবং নতুন অনেক আয়োজন ৷ রকমারি পিঠা আর হরেক রকমের খাবার দেখে কিছুতেই যেনো বিলম্ব সইছিলো না ! সবই যে আমার মায়ের হাতের কারিশমা ! দারুণ তৃপ্তি আর ভীষণ মজায় উদর পূর্ণ করে নিলাম মূহুর্তেই ! খাওয়ারপর্ব সেরে হাত মুছবো বলে যখনই তোয়ালে বা গামছা তালাশ করতেছিলাম, হঠাৎ পাশ থেকে দরদমাখা কণ্ঠে আওয়াজ এলো- ' বাবা, তুই আমার কাঁপড়ের আঁচলে হাত মুছবি বলে আজ কাঁপড়টা ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়েছি ! ' কথাটি মূহুর্তের ভেতরেই আমার হৃদয়ে এবং হৃদয় থেকে সারা দেহে মাতৃস্নেহের অমূল্য পরশ বুলিয়ে দিলো ৷ আর সিক্ত হলাম আমি মায়ের ভালোবাসায় ! হে খোদা, মাকে আমার দীর্ঘজীবি করো ! তাঁর স্নেহছাঁয়া আমার উপরে তুমি আরো অনেক কাল দীর্ঘ করে দাও ৷ আমীন ৷

বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫

ওগো রব্বে কারীম, সুন্দর একটি দেশ চাই!

আমার জানা মতে- ২০০১ সালের
আদমশুমারী অনুযায়ী বর্তমান এই
দুনিয়াতে প্রায় ছয়শো কোটি মানুষ
বসবাস করছে ৷ যার এক চতুর্থাংশ
তথা দেড়শো কোটিই 'মুসলমান' !
অতীত ইতিহাসে আর কখনো এতো
মুসলমান একসাথে এই দুনিয়ায় বাস
করেনি ৷ .. এ এক ঐতিহাসিক সত্য ৷

বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পর্কে সঠিক
ধারণা যাঁরা রাখেন, সাথে সাথে
মানব সূচনা থেকে নিয়ে অদ্যবধির
নির্ভূল ইতিহাস যাঁদের মাথায় আছে,
তাঁরা স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে -
ইসলাম ও মুসলমানদের বর্তমানে যে
বিপর্যয় নেমে এসেছে, এমন বিপর্যয়
অতীতের আর কোন কালেই ছিলো
না ৷বর্তমান চিত্রই তার জ্বলন্ত প্রমান!
সর্বাধিক মুসলমানের এই পৃথিবীতে
ইসলাম ও মুসলমানদের সবচে' বেশি
'খোশ-হালের' পরিবর্তে সবচে' বেশি
বিপর্যয় বা এমন করুণ দূরাবস্থা আর
দূর্দশা কেন নেমে এলো, সেটাই বেশ
চিন্তার বিষয় ! ওগো রব্বে কারীম,
ক্ষমা করো মোদের, আমরা যে আজ
অনেক খারাপ হয়ে গেছি! আমীন ৷৷

দেশে দেশে চলছে মুসলিম নিদনের
মহোৎসব ! নানা দেশে বিভিন্ন বেশে
এগিয়ে চলছে তাগুত ! ওরা যেনো
বলছে- ওরে মুসলিম, তোদের কোনো
দেশ নেই; তোদের দেশ থাকতে নেই!

আহা, আমি মুসলিম আজো ঘুমিয়ে!

ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে এ
দেশে ও বিদেশে চলছে ' ভয়ংকর '
সব ষঁড়যন্ত্র ! আল্লাহ, রক্ষা করো !
কিছুকাল আগেও ইসলাম, মুসলমান
বিশেষতঃ আলেম সমাজের প্রতি যে
জনতা ছিলো ভীতশ্রদ্ধ, সে জনতাই
আজ মোড় নিয়েছে- উল্টো দিকে !
অপরাজনীতি, দুঃশাসণ, নাস্তিক্যবাদ
ও বহুরুপী তাগুতের ভয়াল থাবায়
আজ মনে হচ্ছে— সত্যিই, আমাদের
কোনো দেশ নেই ! এমন কেনো হলো ?!

ওগো রব্বে কারীম,
দাও, সুন্দর একটি দেশ চাই !

মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৫

তুই, তুমি এবং কিছু কথা

আমরা বাংলাদেশী ৷ আমরা বাংলাভাষী ৷
ব্যক্তি সম্বোধনে বাংলায় আমরা তুই, তুমি
এবং আপনি শব্দত্রয়ের ব্যবহার করে থাকি৷
স্থান, কাল ও পাত্রভেদে সবগুলোর ব্যবহারই
ঠিক আছে ৷ তবে, সমস্যা আমাদের অন্যত্র ৷
স্থান চিনি তো আমরা কাল চিনি না, আবার
কাল চিনি তো পাত্র চিনি না ! যারফলে দেখা
যায়, অনিচ্ছা সত্বেও আমরা অনেককে কষ্ট
দিয়ে ফেলি ৷ অনেকে তো আবার ইচ্ছাকৃতই
এমন করে থাকে ! এটা আদৌ সমীচীন নয় ৷
স্থান, কাল এবং পাত্র চিনে কথা বলা উচিত৷

ভরা মজলিশে কিংবা ব্যক্তির সম্মানদাতা সে
পাবলিক প্লেসে আমি তার সাথে সম্বোধনীয়
শব্দ তুই বা তুমির প্রয়োগ করতে পারি না !
হোকনা সে আমার গাঁয়ের পিচ্চি ছেলে কিংবা
পড়ার-গল্পের সাথী ! প্রয়োজনে সম্বোধনীয় শব্দ
এড়িয়ে যাবো, তবুও তুই-তুমি বলবো না ৷ এ
হচ্ছে স্থান চিনে কথা বলা ৷ বুঝা উচিত ... ৷

ছোট্ট বেলায় হয়তো কোনো টুর্ণামেন্ট খেলা
হয়েছিলো তার সাথে, কিংবা গ্রামের অসহায়
অবহেলিত সে ছেলে আজ বড় হয়েছে এবং
বেশ সম্মানের জায়গাও এখন অর্জন করে
নিয়েছে, অথচ আমি পড়ে আছি সেই পূর্বের
অবস্থানেই! তাহলে আমি তাকে প্রকাশ্যে তুই
তুমি বলতে পারি না; বলা উচিত নয় ৷ এটার
নাম হচ্ছে কাল চিনে ব্যক্তির সাথে কথা বলা৷

বড়জন ও গুণীজনদের সাথেও আমি তুই ও
তুমি সম্বোধনে কথা বলতে পারি না ৷ এটার
নাম শিষ্টাচার এবং পাত্র চিনে কথা বলা ... ৷
কাজেই- স্থান, কাল ও পাত্র চিনে কথা বলা
আমাদের একান্ত কর্তব্য ৷ না হয়, দেখা যাবে
মনের অজান্তেই আমরা কাউকে কষ্ট দিচ্ছি ৷
তাছাড়া, সাধারণ জনতাও আপনাকে ভালো
চোখে দেখবে না ৷ ক্ষতি আপনারই বেশি ৷
খুব প্রয়োজনে সম্বোধন এড়িয়ে কথা বলুন ৷

অনেকে আবার স্থান, কাল ও পাত্র চিনলেও
ইচ্ছাকৃতভাবেই পাবলিক প্লেসে তুই ও তুমি
সম্বোধনের প্রয়োগ করে থাকে— 'শুধুমাত্র'
নিজেদের একটু বড় করে ফুটিয়ে তুলতে .. !
অথচ বাস্তবে তারা হয়ে যায় সর্বজন ধিকৃত !
তবে হ্যাঁ, উভয়ের পজিশন সমহালে থাকলে,
উন্মুক্ত জনতার সামনে না হলে তুই, তুমি বা
আপনি .. সম্পর্কভেদে সব বলা যেতে পারে৷