মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১৮

হযরত আলীর রাযি. নসীহত

রাতের আঁধারে এমন কোন
কাজ করো না , যার কারণে
দিনের আলোয় তোমাকে মুখ
লুকিয়ে থাকতে হয় ৷ দিনের
আলোতেও এমন কোন কাজ
করো না , যার কারণে 'রাতের
ঘুম' তোমার নষ্ট হয়ে যায় ৷

শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৮

আজমীর শরীফের খাদেম!

ক'দিনের ছুটি শেষে আজই সকালে
কর্মস্থলে ফিরেছি ৷
জুমু'আর নামাজ আদায় করে রুমে
ফিরছিলাম, হঠাৎ মুসাফাহা করতে
দু'হাত বাড়িয়ে এক বৃদ্ধের আগমন ৷
মুসাফাহা করলাম ৷ কথা বললাম ৷
শুনলাম, উনি আজমীর শরীফের
খাদেম, আমাদের এম. ডি সাহেবের
খাস মেহমান ! সুদূর ভারতবর্ষ থেকে
আমাদের গরীব দেশে ' কালেকশন'
করতে এসেছেন !
কথা হিন্দিতে বললেও উনি বাংলা
কিছু কিছু বুঝেন ৷
আমার জুমু'আপূর্ব বয়ানের অনেক
প্রশংসা করলেন উনি ৷
কিন্তু, উনার অভিযোগ হলো—
মুনাজাতের পূর্বে ' ইয়া নবী সালাম
আলাইকা' পড়লাম না কেন?! হায় !!
আমি বয়ান ও মুনাজাতের শুরুতে
সাধারণতঃ 'দরূদে ইব্রাহীম' পড়ি ৷
আজও পড়েছি, ব্যতিক্রম হয় নি ৷
বললাম, দরূদে ইব্রাহীম তো পড়েছি!?
সেটা কি এর চেয়ে উত্তম নয় মশাই?
চতুর বুড়ো উত্তর না দিয়ে এবার
আমাকে এম.ডি স্যারের সামনেই নবী
(সা:) এর মুহাব্বতমালা শিখাতে লাগলেন ৷
যেন নবী (সা:) এর মুহাব্বত সম্পর্কে
আমি অধম বিলকুল বেখবর! নবীকে
মুহাব্বত করলে নাকি ঐ 'ইয়া নবী..'
ছাড়া কোন উপায় নাই!
মেজায খারাপ, জিজ্ঞেস করলাম—
"আপ আলিম হায় কিয়া?!" (আপনি
কি আলেম?) জবাবে যা বললেন —
উনি আলেম নন, ঠালেম (ঠ্যালা) !
আজমীর শরীফের খাদেম !! ইহাই
উনার বড় পরিচয় !!! আফসোস ৷ ..
বললাম,
আগে কিছু ইলম তো হাসিল করুন ..
তারপর-ই না হয় বয়ানটা শুনাইয়েন !

জানিনা,
মেহমানের বে-কদর হলো কিনা কিংবা
এম. ডি স্যার মন খারাপ করেছেন কিনা!
কিছুই করার নেই; সত্য পরাজিত হয় না!

তারিখ: ৯/২/২০১৮ খ্রিঃ

বাল্য বিয়ে/বিবাহ !

হায়, এদেশে 'বাল্য বিয়ে' নামক কথিত অপরাধের (!) জাঁতাকলে পিষ্ঠ হয়ে আঠারো হয়নি বলে বাবা-মা আজ তাদের ষোল / সতেরো বছরের মেয়েকেও বিবাহ দিতে পারছেন না নির্বিঘ্নে ! বিয়ে বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে যাচ্ছে 'বন্ধুবেশী' সাংবাদিকসহ সরকারী ও বিভিন্ন এনজিও আমলারা ! 'বাল্য বিয়ে' নামক এই ভয়াবহ অপরাধের (!) কারণে মোটা অংকের জরিমানাও গুণতে হচ্ছে অসহায় বাবা-মা ও বর পক্ষকে! বন্ধুবেশী লোকগুলো ডাকাতের মতো কীভাবে লাঞ্ছিত করলো বর-কনে ও তাদের পরিবারকে! উনারা যে শোভাকাঙ্খী বন্ধু! খুব বেশি দুঃখ লাগে তখন, যখন দেখি- বাল্য বিয়ে নামক (বাস্তবে যা যথোপযুক্ত বিয়ে) বিষয়কে এই ৯২% মুসলমানের দেশে 'অপরাধ' হিসেবে চিহ্নিত করে দেখালেও, অপরাধ হিসেবে দেখানো হয়না 'বাল্য প্রেম/সেক্স' ও বাল্য পতিতাবৃত্তিকে! প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে নানাভাবে বরং এর উৎসাহ এমনকি প্রশিক্ষণও প্রদান করা হচ্ছে! যার অনেক 'নিশ্চিত প্রমাণ' দেওয়া যাবে ৷ একটি বৈধ/নৈতিক ও হালাল পদ্ধতিকে বাঁধাগ্রস্থ করে রেখে একটি অবৈধ/অনৈতিক ও হারাম পদ্ধতির দিকে আমাদের সন্তানদেরকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে কু-পরিকল্পিতভাবেই! যা কোন অবস্থাতেই অন্ততঃ ৯২% মুসলমানের দেশে কাম্য নয় ৷

আমার মতে- নিজ কন্যার প্রতি একজন সত্যিকারের বাবা-মায়ের চেয়ে বেশি দয়াবান, বেশি কল্যাণকামী ও বেশি হিতাকাঙ্খী জগতে আর কেউ হতে পারে না, হওয়া সম্ভব নয় ৷ হলে, নিশ্চিত তার/তাদের মতলব খারাপ ৷ কাজেই, কন্যার স্নেহপরায়ণ বাবা-মা ই জানেন ও বুঝেন, কখন তাদের নয়ণের মণি কন্যাকে বিয়ে দিতে হবে এবং কত বছর বয়সী লোকের সাথে ! এখানে অন্য কারো জঘন্য হস্তক্ষেপ করা আদৌ উচিত নয় ৷

বিয়ে-শাদীর ক্ষেত্রে বঙ্গ আইনে ছেলেদের বয়স কিছুটা যৌক্তিক হলেও মেয়েদের বয়স ১৮ নির্ধারণ করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক মনে করছি ৷ ১৮ না হয়ে ১৫-১৬ হলেও কিছুটা মানার মত যুক্তি রাখে ! আপনার মন চায় তো- ৫০ বছরের বুড়ী বানিয়ে আপনার মেয়েকে বিয়ে দিন না! কে না করেছে আপনাকে?! কিন্তু, আমরা মনে করি- সব মেয়ে নয়, অনেক মেয়ে ১৫ বছর বয়সেই বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যায় এবং যেভাবেই হোক (মিডিয়া, সিনেমা, নাটক, বাজে সংস্রব) প্রয়োজনীয় সবকিছু এর মধ্যেই তারা শিখে ফেলে ৷ ব্যতিক্রম মনে হলে বাবা-মা ই সিদ্ধান্ত নিবেন যে, কখন তাদের কন্যাকে তারা বিয়ে দিবেন ৷ যুগের অধঃপতন ও নিরাপত্তার বিষয়গুলোও তারা মাথায় রাখেন ৷ বিষয়টা দায়িত্ত্বশীলদের 'ইনসাফপূর্ণ' নজরে আসলে ভালো হতো !