রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৮

হে আল্লাহ, কোথায় যাবো আমরা?!

সেদিনও পৃথিবী থরথর  করে
কাঁপতো মুসলিমদের হুংকারে !
আদল ও  ইনসাফের  মসনদ
প্রতিষ্ঠিত ছিলো গোটা জগতে !
আকাশ-বাতাস মুখরিত হতো
আল্লাহ আকবার জয় ধ্বনিতে !
শান্তিতে ছিলো মানুষ, সু-শান্ত
ছিলো- আজকের এই পৃথিবী !
সব কিছুই ছিলো সুশৃংখলাবদ্ধ।

' বেশি সুখে থাকলে
নাকি ভূঁতে কিলায় ! '
রসাত্মক এই কথাই একসময়
মর্মান্তিক বাস্তবে রুপ নিলো !
ফলে- সব কিছুই এলোমেলো !!

ক্রমেই  মুসলিম  শাসকবর্গের
মাঝে দেখা দিতে থাকে নৈতিক
অধঃপতন  এবং  রাজনৈতিক
অদূরদর্শীতা বা অপরিপক্কতা !
ফলে- খুবই দ্রুত তাদের রাজ্য
ক্ষমতার ভিত দূর্বল / নড়বড়ে
হতে থাকে ... হওয়ারই কথা !
এদিকে সাধারণ জনতার মাঝে
দেখা দিতে থাকে অপসাংস্কৃতি
চর্চা ও ধর্মীয় মূল্যবোধহীণতা !
ঠিক এই সুযোগেই মুসলিমদের
জাতিয় দুশমন ইয়াহুদী-খ্রিষ্টান
ও মুশরিকেরা আগ্রাসনের হাত
বাড়াতে থাকে ইসলামি ভূ-খন্ড
/ রাজ্য / State গুলোর প্রতি !

অধঃপতিত এই মুসলিমেরা কী
আর করবে তাদের মোকাবেলা!
ভেতরগত কোন্দল ও দলাদলি
অনেক  আগেই  ধর্মকে তাদের
পেছনে ছুঁড়ে দিয়েছে !
" ধর্ম পালন করবে মোল্লারা ! "
হালের ' Public '  তো  এটাই
ইয়াকীন/বিশ্বাস করে নিয়েছে !!
তাই, তাদেরও মাথা ব্যথা নেই।

সারা দুনিয়ায়  আজ চলছে -
মুসলিম নিদনের মহোৎসব !
সকল জাতি ও অপশক্তিগুলো
এক এক করে হাত মিলাচ্ছে !
লক্ষ্য তাদের কেবল একটিঃ-
' মুসলিম মুক্ত পৃথিবী গড়বে ! '
এ পৃথিবী নাকি শুধুই তাদের !!

বিশ্ব মুসলিমেরা আজ লাঞ্চিত
ও মারমূখী হয়েই বেঁচে আছে !
কোত্থাও তাদের আশ্রয় নেই !!

গতকাল শনিবার  পুরো দিন
চলেছে হিন্দু ও মুসলিমদের
মাঝে তুমুল দাঙ্গা এবং হয়েছে
ভীষণ ভয়াবহ মারামারি !!
আজকে আরো কী যে হতে
যাচ্ছে, তা কেবল উপরওয়ালা
আল্লাহই ভালো জানেন ...
এ হচ্ছে উত্তর ভারতের জেলা
সাহারানপুরের চলমান ঘটনা !
ভারতে অবশ্য এগুলো দু'দিন
পরপরই হয়ে চলছে/থাকে ...
বিচার করবে কে এবং কার ?!

অপরদিকে কাশ্মীর, গুজরাট,
আফগান, ইরাক, পাকিস্তান ও
সিরিয়া তো ভয়াল রণক্ষেত্র !
এদিকে জ্বলছে গাজা শহর !!
ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানেরা মারছে,
আর নিরীহ মুসলিমেরা মরছে !
হে আল্লাহ,
এভাবে চলতে চলতে তবে এর
শেষটা কোথায় গিয়ে পৌঁছুবে ?!
কেবল তোমাকেই সিজদাকারী
এ জাতিকে কে রক্ষা করবে ? ..
নির্যাতিত এ জনতার কান্না কি
তোমার দুয়ারে পৌঁছে না ?!
গোটা দুনিয়া আজ মুসলিমদের
জন্য ক্রমেই খুব বেশি সংকুচিত
হয়ে আসছে ! এ কী হলো দশা !?
" নির্যাতিত ও অধঃপতিত "
এ জাতিকে তুমি তোমার মতো
করেই  রক্ষা  করো, হে আল্লাহ !

সোমবার, ২ জুলাই, ২০১৮

সবার জন্য পরামর্শ–১১

দু'টি ইটকে জোড়া লাগাতে তৃতীয় বস্তু
সিমেন্ট-বালির মিশ্রনের দরকার হয়!

দু'টি কাঠকে জোড়া লাগাতে তৃতীয় বস্তু
লোহা/আঠার প্রয়োজন দেখা দেয়!

দু'টি কাঁপড়ের টুকরোকে জোড়া লাগাতে
তৃতীয় বস্তু সুই-সুতার সেলাই করতে হয়!

ঠিক এভাবেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা
'প্রত্যেক দুই খন্ডকে' জোড়া লাগাতে তৃতীয় বস্তুর ব্যবস্থা রেখেছেন!
সুতরাং দু'টি দিল বা বহু দিলকে পরষ্পর জোড়া
লাগাতেও নিশ্চিত তিনি তৃতীয় আরেকটি বস্তু তৈরী/ব্যবস্থা করে থাকবেন এবং করে রেখেছেন!
আর ঐ তৃতীয় বস্তুটির নাম হলো- ' দ্বীনে ইসলাম' !
অতএব, যেই পরিবারে/দেশে দ্বীনে ইসলামের প্র্যাক্টিস/অনুসরণ যতো বেশি থাকবে, নিশ্চিত ঐ পরিবারে/দেশে মানুষের পারষ্পরিক দিলের বন্ধন বা আত্মার সম্পর্ক ততো বেশি মজবুত ও দৃঢ় থাকবে ৷ ফলে, গোটা দুনিয়ায় শান্তির সু-বাতাস বইবে ৷
কাজেই, আসুন! যদি পরিবারে শান্তি চাই, তবে দ্বীনে ইসলামের প্র্যাক্টিস বাড়িয়ে দিই! যদি দেশে শান্তি চাই,  তবুও সর্বত্র দ্বীনে ইসলামের প্র্যাক্টিস/অনুসরণ বাড়িয়ে দিই!

সবার জন্য পরামর্শ–১০

বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়াতে যত্রতত্র
বিশ্বমুসলিম নির্যাতনের গা শিউরে উঠা
ভিডিও ক্লিপগুলো আমরা দেখতে পাই!
বিশ্বসন্ত্রাসীরা আমাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে ভিডিও ক্লিপগুলো আবার আমাদের ভাইদেরকেই দেখিয়ে কাটা ঘায়ে নতুন করে মরিচগুঁড়ো ছিটাচ্ছে– আমাদের হৃদয়টাকেও আহত করার জন্য! এতেই ওরা আনন্দিত, উল্লসিত!
হৃদয়টা যদি সত্যিই আহত হত, তবে আমাদের উপকারই হত! ভবিষ্যৎ গোছাতে পারতাম! কিন্তু, পাথরে হৃদয় আমাদের ব্যথিত হয় না, আহত হয় না! যেটা হয়, তা হলো- অ্যাকশনধর্মী, রক্তাক্ত সিনেমার অভিনয় মনে হয়! ধর্ষণের অভিনয় মনে হয়! ফলে, নির্যাতনের ভিডিওগুলো দেখলে অনেকেই মন্তব্য করে, এটা মনে হয় অভিনয়, পুরোপুরি সত্য নয়, অমুক মুভির কাটপিস, কম্পিউটারে এডিট করা ইত্যাদি! নাঊযুবিল্লাহ ৷
বলা যায়, শয়তানগুলো তাদের মিশনে বেশ সফল!
একদিকে তারা নানাভাবে এবং নানাআয়োজনে মুসলিমহৃদয়ে বিষবাষ্প ঢেলে দিয়ে আমাদের চিন্তা-চেতনাকে ভোঁতা করে দিচ্ছে, অন্যদিকে তারা আমাদের কতককে মেরে কতকের হৃদয়ে তীব্র যন্ত্রণার পাহাড় চাঁপিয়ে দিচ্ছে!

বিশ্বমুসলিমদের তাই আরো সতর্ক হওয়া চাই! দায়িত্ত্ববান হওয়া চাই! ভালো-মন্দ ও ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য করে চলা চাই!

নাটক-সিনেমা, বিশ্বকাপ ফুটবল/ক্রিকেট খেলা ও চোখধাঁধাঁনো আয়োজনগলো উপভোগ করার আগে আরেকটু ভেবে-চিন্তে নেওয়ার উন্মুক্ত পরামর্শ রইলো সবার প্রতি!