বুধবার, ১৩ জুন, ২০১৮

সবার জন্য পরামর্শ–০৯

রাগে-ক্রোধে ভরা বর্তমানের অধিকাংশ মানুষ!
রাগ-ক্রোধ তো প্রায় সবারই আছে, তবে নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষের সংখ্যা বলা চলে বিরল! মনে পড়ে, রাগের মাথায় কত কিছুই না ভেঙেছি এই জীবনে! বলেছি আরো কত কী! আপনারও মনে পড়ার কথা! কিন্তু, সত্যি বলতে কী- ঐ নিয়ন্ত্রণহীন রাগ-ক্রোধ এই জীবনে কখনো-কোথাও কল্যাণের বার্তা বয়ে আনে নি আমার জন্য! হয়তো আপনার জন্যও আনে নি! আনার কথাও না!
দেখুন তো, রাগ করলে সাধারণতঃ আমরা কী কী করি? হয়তো কিছু ভেঙে ফেলি, নয়তো কিছু বাজে বকি, কিংবা অন্য কোন অঘটন ঘটাই! এগুলোর একটিও যে আমার জন্য কল্যাণকর নয়, তা আমাদের প্রায় সবার কাছেই পরিস্কার!  কারণ, কিছু ভাঙলেও আমার ক্ষতি, বাজে বকলেও আমার নোংরামী, আর অন্য কোন অঘটন ঘটালেও আমার ফাইজলামী!
সুতরাং পরামর্শ হলো, আমরা যেন রাগের মাথায়ও নিজের উপর রাজত্ত্ব করি এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে না ফেলি! সাথে সাথে ইমাম গাজালী রহ. এর " ক্রোধ দমন " বইটিও পড়তে পারি! পোস্টটি পড়ার জন্য জাযাকাল্লাহ!

সোমবার, ১১ জুন, ২০১৮

সবার জন্য পরামর্শ–০৮

ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন সাইটে আমরা যারা কম-বেশি লেখা-লেখি করি, তাদের প্রতি–
অনেক সময়ই অনলাইনে কাছের ও পরিচিতজনদের করা এমন কিছু পোস্ট সামনে পড়ে, যা দেখে ও পড়ে রীতিমত বিস্মিত হই! হায়, 'চক্ষু লজ্জা' বলেও তো একটা কথা আছে নাকি! তাছাড়া, এটা তো সবারই জানা থাকার কথা যে, ফ্রেন্ড লিস্টে তার কে কে আছে! অন্যায় তো সবখানেই অন্যায়! আর তা যদি হয় নিজের কাছের ও সম্মানীতজনদের সামনে?! তাহলে? ..

" যা কিছুই লিখি না কেন, সাথে সাথে একটু
হলেও যেন খেয়াল রাখি- আমার এই লেখাটা কিন্তু অনেকের সামনেই পড়বে! কাজেই, অবিবেচকের ন্যয় এমন কিছু যেন না লিখি, যা আমাকে অনেকের সামনেই লজ্জায় ফেলতে পারে! "  জাযাকাল্লাহ ৷

শুক্রবার, ৮ জুন, ২০১৮

সবার জন্য পরামর্শ–০৭

অধীনস্তজনদের নিয়ে যাদের চলতে হয়,
ব্যবসা-বাণিজ্যে, অফিস-আদালতে কিংবা
অন্য কোন কর্মস্থলে, তাদের প্রতি পরামর্শ-
" অধীনস্তদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করুন!
তাদেরকে আদব শেখান এবং মাঝে মাঝেই
অফিসিয়াল কানুন সম্পর্কে অবহিত করুন!
কাছে টানুন ও ভালোবাসুন! কিন্তু, মাঝে মাঝে 'কৌশলি ধমক'ও দিন, যাতে আপনাকে আবার পার্টনার ভাবার সুযোগও না পায়! সেটা হলেও বিপদ! যাইহোক, এই ধমক শত্রুতার নয়, এই ধমক কৌশলের!
মনে রাখতে হবে, ধমক কৌশলেরই হোক আর শাসনেরই হোক, হাসিমুখে শেষ ভালোবাসাটা কিন্তু আপনাকে দিতেই হবে! এটা না হলেও বিপদ! "

সবার জন্য পরামর্শ–০৬

সম্পর্ক বড় দামি ও স্পর্শকাতর জিনিস ৷ খুব কঠিন শর্তে টিকিয়ে রাখতে হয় এই সম্পর্ক ৷
সম্পর্ক তো গড়া যায় যখন-তখন ৷ সামান্য
ভুলে কখনো কখনো তা আবার  চুরমারও হয়ে যায়! তাই, সম্পর্ক যদি হয় সু-সম্পর্ক এবং তা স্থায়ী হোক এমন বাসনা থাকে মনে, তবে অনেক কিছুর সাথে যে বিষয়ের প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখা চাই, তাহলো– " বন্ধু যেন কিছুতেই বুঝতে না পারে, আপনি তাকে কম গুরুত্ত্ব দিচ্ছেন! "
আজকাল এই ভুলটা আমরা প্রায়শঃই করে থাকি ৷ যা সাধারণতঃ বন্ধুদের ইগোতে/চিন্তার জগতে মারাত্মকভাবে আঘাত হানে! এটা কিছুতেই কাম্য নয় ৷ উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়– " বন্ধুর সাথে আপনি কিছু সুন্দর মুহুর্ত কাটাচ্ছেন, গল্প করছেন .. এমন সময় হঠাৎ ক্রিং ক্রিং টেলিফোন বা মোবাইল বেঁজে উঠলো, ফোন তো উঠাতেই হবে, তবে বন্ধুর কাছ থেকে যদি নেওয়া যায় ইশারায় একটু সম্মতি, তবে মন্দ কী তাতে! তারপরে আবার, বন্ধুকে উপেক্ষা করে মোবাইলে দীর্ঘালাপ শুরু করা! এটা বড় ভুল ৷ প্রয়োজন তো অল্পতেও সাড়া যায়! বন্ধুর দেমাগে বিষয়টা কিন্তু স্বভাবতই হিট করার কথা! তাই বন্ধু যখন কাছে আছে, তো আমি যতক্ষণ তাকে সময় দেবো, ততক্ষণ ছোট দরকারে কাউকে ফোন দেবো না! ফোন এলে বা দিলেও প্রয়োজন সাড়ার মতো অল্প কথায় ফোন রাখবো! বন্ধুত্ত্ব হবে তখন আত্মার সাথে! স্থায়ী বন্ধুত্ত্ব!
পাশাপাশি আরেকটা কমন ভুল, যেটা আমরা করে থাকি, তাহলো- " বন্ধু আমার সাক্ষাতে এলে এ কথা আমি তাকে বোঝাতে পারি না যে- বন্ধু, তোমার আগমনে আমি মনে-প্রাণে খুশী! "
তাই, পরামর্শ হলো- বন্ধুকে যেন আমরা যথাযথ গুরুত্ত্ব দিই এবং তার আগমনে যে আমি মনে-প্রাণেই খুশী, তা তাকে বুঝতে সহযোগিতা করি ৷

বুধবার, ৬ জুন, ২০১৮

সবার জন্য পরামর্শ–০৫

নতুন বিয়ে যারা করছেন, তাদের প্রতি!
প্রায়শঃই দেখা যায়– আমরা প্রায় অধিকাংশরাই নববধু পেয়ে বিয়ে এবং বিয়ে পরবর্তী এক-দেড় মাস কিংবা তার চেয়েও বেশি সময় যাবৎকাল পরিচিতদের সাথে বিয়েপূর্ব সময়ের ন্যায় যোগাযোগ রক্ষা করে চলি না বা অপরিচিতের মতো হয়ে থাকি!
যারফলে, প্রায় সব সার্কেলেই কিছুটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা না দিলেও 'মৌন হতাশা' তো অবশ্যই দেখা দেয় ৷ ফলে, মনে হতেই পারে তাদের- ' পাল্টে গেছে জনাব! ' তাই পরামর্শ, জামাই বাবুরা বিষয়টা একটু ভেবে দেখতে পারেন!

মঙ্গলবার, ৫ জুন, ২০১৮

এই জুলুমের শেষ কোথায়?

একজন নিরীহ-নিরস্র ফিলিস্তিনি মুসলিম বোনের উপর 'ইয়াহুদী' ইসরাঈল সৈন্যরা এভাবেই চালাচ্ছে নির্যাতনের স্টিম রোলার। চিত্রে কেবল এক নারীকে নির্যাতনের 'কিঞ্চিৎ' নমুনা দেখানো হয়েছে। কঠিন বাস্তবতা হলো - এর চেয়েও ভয়াবহ ও নির্মম ভাবে ফিলিস্তিনী মুসলিম নারী-পুরুষকে ঐ ইয়াহুদীরা হত্যা করছে প্রতিনিয়ত। কেবল মুসলিম নিধনই ওদের প্রধান ও মূল টার্গেট ৷
কিন্তু,
আফছোছ ও পরিতাপের বিষয় হলো-'মুসলিম বিশ্ব' আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও 'তথাকথিত' মানবতার ফেরিওয়ালারা এগুলো দেখেও 'নিরব' ভূমিকা পালন করে আসছে। একটু লক্ষ করলেই দেখবেন- গোটা বিশ্বের সকল সমস্যা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পেছনে মূল হোতা বা কল-কব্জা নাড়ছে ঐ 'কুখ্যাত ইসরাঈলী ইয়াহুদী সাম্রাজ্য'। আজকে আমেরিকা সহ সকল খৃষ্টান, হিন্দু ও বৌদ্ধ সাম্রাজ্য গুলোও তাদের কাছে 'বিভিন্ন' কারণে যিম্মি বা পরাধীন হয়ে আছে। ফলে,খুব সহজেই তারা নানা ভাবে স্বয়ং নিজেরা এবং তাদের 'যিম্মি' করা বিভিন্ন সাম্রাজ্য নিয়ে মুসলিম নিধনে নেমে পড়েছে।
এজন্যই বুঝি- 'ষাট লক্ষ' ইয়াহুদীকে হত্যা করে ঐতিহাসিক এক ভাষণে হিটলার বলেছিলঃ-
" চাইলে সব ইয়াহুদীকেই হত্যা করতে পারতাম! কিন্তু কিছু ইয়াহুদীকে জীবিত রেখে গেলাম। যাতে  'পরবর্তী প্রজন্ম' সহজেই বুঝতে পারে যে - 'আমি কেনো তাদের প্রতি গণহত্যা চালিয়েছিলাম! "

হিটলারের সেই কথা আজ 'চিরসত্য' প্রমাণিত হয়েছে। আজকের মানবতা এই মুসলিম নির্যাতন দেখেও নিরব, নিস্তব্ধ! আর, আমরা তো নিজেদের ভেতরগত দলাদলি ও কোন্দল নিয়েই ব্যাস্ত !
সত্যিই, জাতির কপাল পুড়েছে আজ !!
আমাদের 'সুমতি' হবে কি কোনোদিন ?!

আমি আল্লাহকে সব বলে দেবো!

ফেসবুক ও টুইটারে এ সপ্তাহের
সবচেয়ে আলোচিত ছবি এটি।
সিরিয়ায় যুদ্ধাহত এ শিশুটি স্থানীয়
হাসপাতালে এভাবেই কেঁদে কেঁদে
বলতে থাকে-
"আমি আল্লাহকে সব বলে দেবো .."
উল্লেখ্য যে, বুলেটের আঘাতে
জর্জরিত এ ভাইটি এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
আল্লাহ যেনো এই মাসুম ভাইটিকে সুস্থ
করে দ্বীনে ইসলামের অনেক বড় খাদেম
বানিয়ে দেন।আমীন।
নয়া দিগন্ত পত্রিকার ফেসবুক পেজে
তার 'হৃদয় ভরপুর কষ্টে উচ্চারিত' "আমি
আল্লাহকে সব বলে দেবো .." দেখে আমি
চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি
সেদিন।
ছোট এ ভাইটিকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে
আল্লাহকে কী বলে দেবে …
হে আল্লাহ, তুমি গোটা বিশ্বের সকল
মজলুম মুসলিম ভাইদেরকে আপন যিম্মায়
নিয়ে রক্ষা করো।
আমরা যে কেবল তোমারই সাহায্যের
প্রতীক্ষায় …
আমাদের জন্য তুমিই যথেষ্ট হয়ে যাও!


[ ৩-১-২০১৪ এর পোস্ট ৷ আজও এমন অসংখ্য নির্যাতন চলমান সিরিয়া, ফিলিস্তিন ও গোটা মুসলিম দুনিয়ায় ৷ ]

দিশেহারা নাবিক মোরা!

অন্ধকার রাতে অথৈ সমুদ্রে
পথহারা নাবিক যখন তার
সমুদ্রের কিনারা খুঁজে পায়
না, ফলে 'উদ্ভ্রান্ত' হয়ে ঘুরতে
থাকে চতুর্দিকে,আর এভাবে
যখন কেটে যায় তার আরো
কিছু দিন .. তখন দিশেহারা
ঐ নাবিক যে মুসিবতটা ফেস
করে থাকে, বর্তমান দুনিয়ার
গোটা মুসলিম জাতিও আজ
সেই মুসিবতটাই ফেস করছে!
মুসলিমেরাও আজ দিশেহারা। ..
কেউ জানি না, শেষ কোথায় !

ছবিও কথা বলে!

প্রজা মেরে 'ডিনার' সারতে
চেয়েছিলেন বনের রাজা! কিন্তু;
তা আর হলো কই?! সম্মিলিত
প্রতিরোধের মুখে কোনো রকম
প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বাঁচতে হলো
রাজা মশাইকে!
ছবি কথা বলছে, শুনছেন কি? ..

সুবর্ণ সুযোগ!

যারা তাহাজ্জুদের বরকত পেতে চাই, তাদের জন্য রমাযানুল মুবারক এক সুবর্ণ সুযোগ! কারণ, চাইলেই আমরা সাহরীর আগে কমপক্ষে চার রাকাত হলেও তাহাজ্জুদ আদায় করতে পারবো, ইন শা আল্লাহ ৷
আল্লাহ সহজ করে দিন ৷

প্রতিটি অসুস্থতাই যন্ত্রণার!

প্রতিটি অসুস্থতাই যন্ত্রণার!

মাঝে মাঝেই আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি ৷ ঠান্ডা, জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা, টায়ফয়েড, জন্ডিস ও চিকুনগুনিয়ার মতো নতুন নতুন অসুখে! অসুস্থতা কী যে যন্ত্রণার, ভুক্তভুগি ছাড়া কেউ তার যথাযথ উপলব্ধি করতে পারবে না, বর্ণনা দিতে পারবে না ৷ কোনো অসুখকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই ৷ সবগুলোই যন্ত্রণার ৷
শান্তনার কথা হলো, এগুলো রব-আল্লাহ'র পক্ষ হতে রহমত ও পরীক্ষা ৷ তথাপিও আমরা অনেক সময় ইচ্চায়-অনিচ্ছায় ধৈর্যচ্যুত হয়ে যাই ৷ আল্লাহ মাফ করুন— মুখ দিয়ে বের হয়ে যায় অধৈর্যের কথা, অন্যায় কথা ৷ আবারো বলি, আল্লাহ মাফ করুন ৷
আমাদের বুঝ দূর্বল, চিন্তা-চেতনা দূর্বল, আরো দূর্বল মন-মানসিকতা! তাই কস্ট হয়, দুঃখ হয় এবং বাজে বকি!
আল্লাহ সবরে জামীল নসীব করুন ৷
আজ প্রায় ১৮ দিন যাবত অসুস্থ আমি ৷ ঠান্ডা, জ্বর, কাশি, গুটি/বসন্ত/পক্স ও স্বর ভাঙা .. ধারাবাহিকভাবে!
তারাবীহ পড়াতে কস্ট হয়, তবুও পড়াচ্ছি- আলহামদুলিল্লাহ!
আজ ভোর হতে আবার পুরো শরীর ঝিমঝিম করছে! চক্ষু শীতল হয়ে আসছে! মেজায খিটখিটে লাগছে! সবকিছুই খুব বিরক্ত লাগছে! আল্লাহ রহম করুন, মাফ করুন ৷

অসুস্থ থেকে একটা অভিজ্ঞতা হাসিল হয়েছে যে- সব অসুস্থতাই যন্ত্রণার এবং সব অসুস্থতাই বারবার মৃত্যুকে স্মরণ করিয়ে দেয়!
[ ২১ মে ২০১৮ এর পোস্ট ]

সবার জন্য পরামর্শ–০৪

আমাদের প্রায় সবারই কাছের এমন কিছু
বন্ধু-বান্ধব বা পরিচিতজন থাকেন, যাদের
সাথে আমরা খুব ফ্রেন্ডলি মিশি এবং স্বহাস্য
সব ধরণের গল্পও করে থাকি ! যার ফলে
প্রায়শঃই দেখা যায়, আমরা ও তারা পরষ্পর
রসালো গল্প বা খুব সাধারণ কথোপকথনের
সময়েও এমন এমন শব্দ ও বাক্যের ব্যবহার
করে থাকি, যা অন্য দশ জনের সামনে বলতে
কিছুটা হলেও লজ্জা বা ইতস্তবোধ করি! অথচ
সম্পর্কের দোহাই দিয়ে সেই সকল শব্দ ও বাক্যই
আজ আমরা অবাধে এই অনলাইন মিডিয়া
এবং পাবলিক প্লেসেও ব্যবহার করছি প্রতিনিয়ত!
ফলে লজ্জিত হচ্ছি আমরা সবাই! কারণ,
বিভিন্ন ক্যাটাগরি বা শ্রেনী-পেশার মানুষ
নিয়েই আমাদের ব্যক্তি জীবন সাজানো থাকে!
পরামর্শ হলো,
আমরা যেন বিশেষ করে অনলাইন মিডিয়া
এবং পাবলিক প্লেসে অপর ভাই ও বন্ধুর
সম্মানের প্রতি যথেষ্ট খেয়াল রাখি ! কারো
সামনে কাউকেই যেন লজ্জিত হতে না হয়!

সবার জন্য পরামর্শ–০৩

ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায়
মাঝে মাঝেই হয়তো দেখে থাকবো যে–
বিভিন্ন প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে বিভিন্ন
ইসলামি দল ও জাতির কর্ণধার মুহতারাম
আলেম-উলামাদের নিয়ে খুব জঘন্য এবং
অশালীন ভাষায় মন্তব্য করা হচ্ছে! আমি
নিজেও বহু দেখেছি! এমতাবস্থায় আমার
পরামর্শ হলো, " ভিন্ন মত ও ভিন্ন পথেরও
যদি হয়, যৌক্তিক সমালোচনা এবং মার্জিত
ভাষায় যেন করি! অসুন্দর ও অবমাননাকর
শব্দ/বাক্যগুলো যেন আমরা পরিহার করি!
আর যেখানে আমার করা মন্তব্যকে অনর্থক/
বে-ফায়েদা মনে হবে, সেখানে যেন সবচেয়ে
নিরাপদ রাস্তা 'চুপ থাকা'টাকেই বেছে নিই ! "

সবার জন্য পরামর্শ–০২

হাফেজে কুরআন যারা খতমে তারাবীহ
পড়াচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা ৷

যথেষ্ট দুঃখজনক হলেও সত্য যে,
সারা বছর অন্য সবকিছু করার সময় পেলেও 'আমরা অনেকেই' কুরআনে হাকীম তিলাওয়াতের সুযোগ তেমন পাই না ! কেন পাই না? .. আল্লাহ মা'লূম ! ফলে কুরআন আমাদের দিলে ঘুমিয়ে থাকে ! জাগ্রত থাকে না ! কিন্তু, যবে থেকে রমযান শুরু হয়ে গেলো, সেই ঘুমন্ত কুরআনকে জাগাতে দিন-রাত এক করে তিলাওয়াতে মহা ব্যস্ত হয়ে পড়ি আমরা! সওয়াবের আশায় নয়; তারাবীহ পড়াতে হবে যে ! আল্লাহ মাফ করুন ৷
যাইহোক, তারাবীহ তো পড়াতেই হবে! সেজন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমান তিলাওয়াতও করতে হবে!
কিন্তু, দিন-রাত এক করে না ঘুমিয়ে রমযানে যেন আর এতো মেহনত করতে না হয় বা মেহনত কম করলেই চলে, সেজন্য একটি পরামর্শ ! মানলে কাজে দিবে, নিশ্চিত ! ইনশা আল্লাহ ৷

→ প্রতিদিনের তারাবীহের জন্য যেই পরিমান
তিলাওয়াতের প্রস্তুতি আমরা নিয়ে থাকি ,
ঐ এক-দেড় পারা কুরআন আমরা যেন খুব
ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করে নিই! তারাবীহ পূর্ব
সময়ে কাউকে যেন শুনিয়ে নিই! তারাবীহের
পরে যেন কোথাও কোনো ভুল আছে কি না,
শুধরে নিই! সাহরী খেতে উঠবো যখন, তখন
যেন তাহাজ্জুদে দাঁড়িয়ে পুনরায় তা মালিককে
শুনিয়ে দিই! এভাবে যেন প্রতিদিনের আমল
প্রতিদিন করে পুরো একটি মাস কাটিয়ে দিই!
বিশ্বাস করুন, আপনার এই এক মাসের আমল
আপনাকে কমপক্ষে আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত
এনার্জি যোগাবে! প্রতি বছরই যদি এই আমল
জারী রাখা যায়, তাহলে কুরআনের প্রতিটি সূরা ও
আয়াত আপনার সামনে হার হালতে আয়নার
ন্যায় ভাসছে মনে হবে, ইনশা আল্লাহ ৷
তাছাড়া, সারা বছর দৈনন্দিন তিলাওয়াতের
অভ্যাশ তো হাফেজদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ৷

সবার জন্য পরামর্শ–০১

আলিম-উলামা ও ত্বলাবা যারা আছেন-
লেখা-পড়ায় কিংবা চেহারায় একটু কম
হলেও মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েদেরকেই বিয়ে
করা উচিত ৷ একটু সময় বেশি লাগলেও!
বিপরীত হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংসার
টিকে না অথবা সংসারে শান্তি আসে না ৷
পরিক্ষীত, ব্যতিক্রমের সংখ্যা খুবই নগন্য ৷

ভিন্ন পরিবেশের একটি মেয়ে হঠাৎ করেই
বদলে যেতে পারে না ৷ সম্ভব হয়ে উঠে না ৷
যে মেয়েটি আগে থেকেই পর্দা রক্ষা করে
চলা শিখেনি, নামাযের পাবন্দি করেনি এবং
গান-বাদ্য ও নাটক–সিনেমাকে হারাম বলে
জানে নি, সে কীভাবে কারো কথায় হঠাৎ
করেই বদলে যাবে ?! কীভাবে তা সম্ভব? ..
সে তো নিজেকে 'বন্দী পাখি' মনে করবে !
আর সবকিছুই তার কাছে নিশ্চিত বাড়াবাড়ি
মনে হবে ! অবশেষে দেখা যাবে, লাজ–শরম
ও মান-ইজ্জতের মাথা খেয়ে সংসার ভাঙছে!
কিছুই ভাববে না সে ! কিছুই মনে করবে না !

মান হারাবে আপনার এবং শুধুই আপনার ..

মুসলিম জাতির এ কী হলো!

অধঃপতিত মুসলিম উম্মাহ'র এমন একটি
নাজুক সময় আসবে, যখন মাটির ভেতরে
ঢুকে যাওয়ার রাস্তাটাই শুধু নিরাপদ রাস্তা
বিবেচিত হবে !
উম্মত সেদিকেই ক্রমশঃ এগিয়ে যাচ্ছি আমরা!