শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৮

আজমীর শরীফের খাদেম!

ক'দিনের ছুটি শেষে আজই সকালে
কর্মস্থলে ফিরেছি ৷
জুমু'আর নামাজ আদায় করে রুমে
ফিরছিলাম, হঠাৎ মুসাফাহা করতে
দু'হাত বাড়িয়ে এক বৃদ্ধের আগমন ৷
মুসাফাহা করলাম ৷ কথা বললাম ৷
শুনলাম, উনি আজমীর শরীফের
খাদেম, আমাদের এম. ডি সাহেবের
খাস মেহমান ! সুদূর ভারতবর্ষ থেকে
আমাদের গরীব দেশে ' কালেকশন'
করতে এসেছেন !
কথা হিন্দিতে বললেও উনি বাংলা
কিছু কিছু বুঝেন ৷
আমার জুমু'আপূর্ব বয়ানের অনেক
প্রশংসা করলেন উনি ৷
কিন্তু, উনার অভিযোগ হলো—
মুনাজাতের পূর্বে ' ইয়া নবী সালাম
আলাইকা' পড়লাম না কেন?! হায় !!
আমি বয়ান ও মুনাজাতের শুরুতে
সাধারণতঃ 'দরূদে ইব্রাহীম' পড়ি ৷
আজও পড়েছি, ব্যতিক্রম হয় নি ৷
বললাম, দরূদে ইব্রাহীম তো পড়েছি!?
সেটা কি এর চেয়ে উত্তম নয় মশাই?
চতুর বুড়ো উত্তর না দিয়ে এবার
আমাকে এম.ডি স্যারের সামনেই নবী
(সা:) এর মুহাব্বতমালা শিখাতে লাগলেন ৷
যেন নবী (সা:) এর মুহাব্বত সম্পর্কে
আমি অধম বিলকুল বেখবর! নবীকে
মুহাব্বত করলে নাকি ঐ 'ইয়া নবী..'
ছাড়া কোন উপায় নাই!
মেজায খারাপ, জিজ্ঞেস করলাম—
"আপ আলিম হায় কিয়া?!" (আপনি
কি আলেম?) জবাবে যা বললেন —
উনি আলেম নন, ঠালেম (ঠ্যালা) !
আজমীর শরীফের খাদেম !! ইহাই
উনার বড় পরিচয় !!! আফসোস ৷ ..
বললাম,
আগে কিছু ইলম তো হাসিল করুন ..
তারপর-ই না হয় বয়ানটা শুনাইয়েন !

জানিনা,
মেহমানের বে-কদর হলো কিনা কিংবা
এম. ডি স্যার মন খারাপ করেছেন কিনা!
কিছুই করার নেই; সত্য পরাজিত হয় না!

তারিখ: ৯/২/২০১৮ খ্রিঃ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন